নেত্রকোনার বিরিশিরি, দুর্গাপুর সাদা পাহাড়, কলমাকান্দা ভ্রমণ || ঘুরে দেখি নিজ দেশ-Beautiful Bangladesh
ঘুরে দেখি নিজ দেশ-Beautiful Bangladesh
উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কোলঘেষে অবস্থিত নেত্রকোনা জেলা বাংলাদেশের অন্যান্য দর্শনীয় অঞ্চলের একটি। এটি ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তর্গত একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। বিভিন্ন ঐতিহাসিক এবং দর্শনীয় স্থানের কারনে ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে এ জেলার বেশ কদর রয়েছে। এসব দর্শনীয় স্থানের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হলো:
⇒ চীনামাটির পাহাড়, বিজয়পুর, দূর্গাপুর।
⇒ হযরত শাহ সুলতান কমরউদ্দিন রুমি (রা:) মাজার শরীফ, মদনপুর, নেত্রকোনা সদর।
⇒ কমরেড মলি সিংহ- এর স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি ও স্মৃতিস্তম্ভ, দূর্গাপুর।
দুর্গাপুর সাদা পাহাড় |
⇒ কমলা রাণীর দীঘি, দূর্গাপুর।
⇒ কুমুদীনি স্তম্ভ, দূর্গাপুর।
⇒ সোমেশ্বরীনদী, দূর্গাপুর।
⇒ কংস নদ, পূর্বধলা উপজেলা।
⇒ ডিঙ্গাপোতা হাওড়, মোহনগঞ্জ উপজেলা।
⇒ নিঝুম পার্ক, কেন্দুয়া উপজেলা।
⇒ নারায়ণডহর জমিদার বাড়ি, পূর্বধলা উপজেলা।
⇒ বাঘবেড় জমিদার বাড়ি, পূর্বধলা উপজেলা
⇒ কুমুদীনি স্তম্ভ, দূর্গাপুর।
⇒ সোমেশ্বরীনদী, দূর্গাপুর।
⇒ কংস নদ, পূর্বধলা উপজেলা।
⇒ ডিঙ্গাপোতা হাওড়, মোহনগঞ্জ উপজেলা।
⇒ নিঝুম পার্ক, কেন্দুয়া উপজেলা।
⇒ নারায়ণডহর জমিদার বাড়ি, পূর্বধলা উপজেলা।
⇒ বাঘবেড় জমিদার বাড়ি, পূর্বধলা উপজেলা
সোমেশ্বরী নদী, বিরিশিরি |
যাতায়াত:
ঢাকার মহাখালী বাসস্টান্ড থেকে বাসে করে নেত্রকোনা যাওয়া যায়। ভাড়া পরবে জনপ্রতি ২০০-৩০০ টাকার মধ্যে। ময়মনসিংহ শহর থেকে বাসে জনপ্রতি ভাড়া ৫০- ৬০ টাকা। তবে ৮-১০ জনের গ্রুপ হলে, আপ-ডাউন মাইক্রো ভাড়া করে গেলে সবচেয়ে ভালো হবে। এতে একদিকে যেমন সময় ও অর্থ বাঁচবে, অন্যদিকে রিলাক্সে অনেকগুলো স্পট ঘুরে আসতে পারবেন।
টংক ও কৃষক আন্দোলনের পথিকৃত নেত্রী হাজংমাতা শহীদ রাশিমণি স্মৃতিসৌধ, বহেড়াতলী, নেত্রকোনা। স্থাপিতঃ ৩১-০১-১৯৪৬ খ্রি: |
বিরিশিরি ঃ
সোমেশ্বরী নদী দূর্গাপুর থেকে বিরিশিরিকে আলাদা করলেও বিরিশিরি আসলে দূর্গাপুর উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। বর্তমানে এটি দূর্গাপুর পৌরসভার একটি ওয়ার্ড । একানকার স্থানীয় অধিবাসীদের শতকরা ৬০ ভাগ গারো আদিবাসী, ৩০ ভাগ মুসলমান এবং ১০ ভাগ হিন্দু ও অন্যান্য জনগোষ্ঠী।
সোমেশ্বরী নদী ঃ
ভারতের মেঘালয়ের গারো পাহাড় থেকে নেমে আসা এই নদীর পূর্ব নাম ছিল “সমসাঙ্গ” । স্থানীয় দিন-মজুরদের জীবীকার উৎস এই নদী । এই নদীতে পাওয়া যায় প্রচুর কয়লা। বলা যায় এই নদী একটি কয়লার খনি।
নিঝুম পার্কঃ
গ্রামীণ পরিবেশে, আধুনিকতার ছোঁয়ায় দেশের মানচিত্রের আদলে তৈরি করা এই পার্ক। এটি কেন্দুয়া উপজেলার জল্লী গ্রামে অবস্থিত। বন-বনানীর ছায়া ঘেরা, সবুজের সমারোহ, পাখ-পাখালির কলরব মুগ্ধ করবে দর্শনার্থীদের। পার্কটির চারপাশে রয়েছে স্বচ্ছ পানির লেক, প্রবেশ পথে ঝুলন্ত সেতু। ভেতরে রয়েছে পশু-পাখি, রূপকথার পরীর ভাস্কর্য ।
কেন্দয়া বাসস্টান্ড থেকে রামপুর বাজার হয়ে যেতে হয় দলপা ইউনিয়নের এই জল্লী গ্রামে।
No comments