গবেষণা: সংজ্ঞা এবং বৈশিষ্ট্য
গবেষণা: সংজ্ঞা এবং বৈশিষ্ট্য
গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হলো:
·
নতুন জ্ঞান আবিষ্কার করা: পূর্বে অজানা তথ্য উন্মোচন করা এবং জ্ঞানের সীমানা প্রসারিত করা।
·
বিদ্যমান জ্ঞানের যাচাই ও বৈধতা নিরূপণ করা: পূর্ববর্তী গবেষণার ফলাফলকে পরীক্ষা করে তার সঠিকতা যাচাই করা।
·
বাস্তব সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা: জ্ঞান ব্যবহার করে ব্যবহারিক সমাধান তৈরি করা।
গবেষণার প্রামাণ্য সংজ্ঞা:
·
"গবেষণা হলো পদ্ধতিগতভাবে তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং ব্যাখ্যা করার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জনের প্রক্রিয়া।" - ক্রেসওয়েল (Creswell, 2014)
·
"গবেষণা হলো কৌতূহলের প্রবল আকাঙ্ক্ষা দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি সুশৃঙ্খল অনুসন্ধান।" - কুমার (Kumar, 2011)
·
"গবেষণা হলো নতুন জ্ঞান আবিষ্কার বা বিদ্যমান জ্ঞানের প্রসার ও পরিমার্জনের জন্য পদ্ধতিগত ও পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।" - বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (BOU)
গবেষণার বৈশিষ্ট্য:
·
পদ্ধতিগত: গবেষণা একটি পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা ও পদ্ধতি অনুসরণ করে পরিচালিত হয়।
·
সুশৃঙ্খল: গবেষণায় তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা হয়।
·
নিরপেক্ষ: গবেষণায় পক্ষপাত এড়ানোর জন্য সচেষ্ট থাকা হয়।
·
যাচাইযোগ্য: গবেষণার ফলাফল অন্যরা পরীক্ষা করে যাচাই করতে পারে।
· সাধারণীকরণযোগ্য: গবেষণার ফলাফলকে অন্যান্য পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করা সম্ভব।
গবেষণার প্রকারভেদ:
গবেষণার উদ্দেশ্য, পদ্ধতি, এবং বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে গবেষণার বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
·
মৌলিক গবেষণা: নতুন জ্ঞান আবিষ্কারের উপর মনোযোগী।
·
প্রয়োগিত গবেষণা: বিদ্যমান জ্ঞান ব্যবহার করে ব্যবহারিক সমাধান তৈরির উপর মনোযোগী।
·
পরিমানগত গবেষণা: সংখ্যাসূচক তথ্য ব্যবহার করে বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ।
·
গুণগত গবেষণা: অ-সংখ্যাসূচক তথ্য ব্যবহার করে বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ।
No comments