ব্রিটিশ সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর? ।। Characteristics of the British Constitution
ব্রিটিশ সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর?
বিশে^র প্রাচীনতম সংবিধান হচ্ছে ব্রিটেনের সংবিধান। গ্রেট ব্রিটেন একটি এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থার রাষ্ট্র। এখানে নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র চালু আছে। আর সরকার মূলত মন্ত্রিপরিষদ শাসিত, অর্থাৎ এখানে সংসদীয় ব্যবস্থা চালু রয়েছে। তাই বিশে^র বিভিন্ন দেশের শাসনতন্ত্রের ওপর ব্রিটিশ সংবিধানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। আর এজন্য ব্রিটিশ সংবিধানকে সংবিধানসমূহের জননী Õthe mother of constitution’ বলা হয়।অধ্যাপক মনরো বলেন, The British Constitution is the mother of all constitutions and the British Parliament is the mother of all parliaments.
ব্রিটিশ সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:
ব্রিটিশ সংবিধানের কতগুলো মৌলিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিচে সেগুলো বর্ণনা করা হলোÑ
১. অলিখিত সংবিধান:
ব্রিটিশ সংবিধানকে বলা হয় অলিখিত সংবিধান । কারণ সেখানে এমন কোন একক দলিল বা দলিলসমিষ্টি নেই , যাতে সে দেশের শাসনব্যবস্থা সম্পর্কিত মূল বিধানগুলো উল্লিখিত আছে। সেখানে প্রথা, কমন আইন, রীতিনীতি ইত্যাদি সাংবিধানিক বিধান হিসেবে কাজ করে। অবশ্য ব্রিটিশ সংবিধানের কিছু কিছু লিখিত উপকরণ রয়েছে। যেমন- ম্যাগনাকার্টা(magnacarta) ও পিটিশন অফ রাইটস (petition of Right)-এর মতো ঐতিহাসিক সনদ , ১৯১১ ও ১৯৪৯ সালের পার্লামেন্ট অ্যাক্টগুলোর (Parliament acts) মতো আইন বা সংবিধি এবং উইলকেস মামলার সিদ্ধান্ত প্রভৃতি ।
২. সুপরিবর্তনীয়:
ব্রিটিশ সংবিধান সুপরর্বিতনীয় ।এর পরিবতর্নের জন্য কোন বিশেষ পদ্ধতি অনুসনরে প্রয়োজন হয় না। একে সাধারণ আইনরে মতো একই পদ্ধততিে পরর্বিতন করা যায়। র্পালামন্টে জুয়াখলো নয়িন্তণ আইনরে ,মতো একই উপায়ে নজিরে সদস্য সংখ্যার পরর্বিতন করতে পার।
৩. বিবর্তনশীলতা:
ব্রটিশি সংবধিান কোন সংস্থা র্কতৃক তরৈি হয়ন;িবরং এটা জনগনরে প্রয়োজন মটোতে পরস্তিরি সাথে খাপ খাইয়ে গড়ে উঠছে।েএ সংবধিান বর্বিতনশীল।
৪. তত্ত্ব ও বাস্তবতার মধ্যে ব্যবধান;
সংবধিানরে তত্ত্ব ও বাস্তব র্কাযকারতিার মধ্যে ব্যাপক ব্যবধান দখো যায়। যমেন-তত্ত্বগতভাবে রাজা বা রানইি র্সবময় ক্ষমতার অধকিারী ,কন্তিু বাস্তবে তার মন্ত্রীরাই র্পালামন্টেরে কাছে দায়ী থকেে সসেব ক্ষমতা প্রয়োগ করনে।
৫. এককেন্দ্রিক:
এ সংবিধান অনুযায়ী গ্রেট ব্রিটেন যুক্তরাষ্ট্র নয়; বরং এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র। কেন্দ্রীয় সরকারের হাতেই সকল ক্ষমতা ন্যস্থ। পার্লামেন্টের ক্ষমতা ব্রিটেনে র্সবত্র অবাধে প্রযোজ্য।
৬. পার্লামেন্টের সার্বভৌমত:
ব্রটিশি র্পালামন্টেই র্সাবভৌেম ক্ষমতার অধকিারী। র্পালামন্টে যকেোন বষিয়ে আইন তরৈ,িবাতলি বা সংবধিান করতে পার।ে আদালত র্পালামন্টেরে সকল আইনই বধৈ বলে প্রয়োগ কর।ে আদালত বা অন্য কোন সংস্থা কোন যুক্ততিইে র্পালামন্টেরে আইন বাতলি বলে ঘোষণা করতে পারে না। K.C Wheare বলেন –the supremacy
of parliament is the cornerstone of the british
constitution.
৭. প্রথার আধিক্য:
ব্রটিশি সংবধিানে দশোচারগুলো সংখ্যায় অত্যন্ত বশে।িপ্রথা ইংল্যান্ডরে সংবধিানরে প্রাথমকি উপাদানস্বরূপ এবং এগুলো সরকাররে বাস্তব র্কাযকারতিা যথষ্টে পরমিানে নয়িন্ত্রণি কর।ে
৮. আইনের শাসন:
সাধারণ র্অথে আইনরে শাসন বলতে আইনরে বধিান অনুসারে শাসন পরচিালতি হওয়া , আইন লঙ্ঘন না করলে কাউকে শাস্তি না দয়ো ইত্যাদি বষিয় বোঝায় । আইনরে শাসনবলইে ব্রটিনেবাসী নাগরকি স্বাধীনতার র্পূব গ্যারান্টি লাভ কর।
৯. কেবিনেট সরকার:
ব্রটিশি সরকার যর্থাথই কবেনিটে সরকার । প্রধানমন্ত্রীর নতেৃত্বাধীন কবেনিটেই নর্বিাহী ক্ষমতা র্চচার অধকিারী এবং দশে শাসনরে ব্যপারে র্পালামন্টেরে নকিট দায়ী থাক।প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রীসভা
১০. রাজতন্ত্র:
ইংল্যান্ডরে প্রাচীনতম রাজনতৈকি প্রতষ্ঠিান রাজতন্ত্র এখন ও টকিে আছ।ে তবে এই রাজতন্ত্র ক্রমবর্বিতনরে মধ্যে দয়িে সীমতি ও নয়িমতান্ত্রকি রূপর্ নয়িছে।ে র্বতমানে রাজা বা রানি কবেনিটেরে পরার্মশ অনুযায়ীই রাষ্ট্রপ্রধানরে দায়ত্বি পালন করনে।
১১. দি¦Ñদলীয় ব্যবস্থা :
ব্রটিশি রাজনতৈকি দলব্যবস্থা দ্ব-িদলীয় ব্যবস্থার উদাহরণ হসিবেে ববিচেতি হয়। রক্ষণশীল দল এবং শ্রমকি দল হলো ব্রটিনেরে দুটি রাজনতৈকি দল।
১২.নাগরিক অধিকার:
নাগরকি অধকিাররে স্বীকৃতি উদারনতৈকি গণতান্ত্রকি ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বর্পূণ বশৈষ্টি । ব্রটিনে উদারনতৈকি গণতন্ত্ররে অন্যতম পীঠস্তান হসিবেে পরচিতি । এ ব্যবস্থায় ব্রটিশি নাগরকিগণ কতগুলো অধকিার ভোগ করতে পারনে।
১৩. শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতির প্রাধান্য:
ব্রটিনেরে শাসনতান্ত্রকি ব্যবস্থায় শাসনতান্ত্রকি রীতনিীতরি গুরুত্ব অত্যন্ত বশে। এগুলো আদালত র্কতৃক বলবৎযোগ্য নয়। তবুও ব্রটিশি শাসনতন্ত্ররে কাঠামো শাসনতান্ত্রকি রীতনিীতগুলোর উপর গড়ে উঠছেে এবং টকিে আছ।
উপসংহার:
আধুনকি সংবধিানসমূহরে মধ্যে ব্রিটিশ সংবধিান সবচয়েে প্রাচীন। এ সংবধিান পরর্বিতনশীল । তাই ব্রিটিশ শাসনতন্ত্র সুর্দীঘ সময় ধরে বিবর্তনের মাধ্যমে র্বতমান অবস্থায় এসে উপনীত হয়ছে। বিশ্বের প্রায় সব দেশের সংবধিানরে ‘জন্মদাত্রী’ হসিবেে ববিচেতি ব্র্রটিশি সংবধিান বাস্তবকি পক্ষইে অভনিব প্রকৃতি ও স্বাতন্ত্র্যরে অধকিারী। সুর্দীঘ ক্রমবর্বিতনরে ফল এ সংবধিান লখিতি ও বধিবিদ্ধভাবে প্রণীত না হলওে এর প্রভাব ব্রটিশি জনসমাজরে র্সবত্র । বচিত্রি ঘটনাপ্রবাহ ও উপাদানরে সমষ্টতিে উদ্ভূত ব্রটিশি সংবধিান অত্যন্ত নমনীয় প্রকৃতরি এবং এর পরসিীমাও নর্ধিারণ করা সম্ভব । অবস্থার পরপ্রিক্ষেতিে প্রতনিয়িত পরর্বিতনশীল ব্রটিশি সংবধিান র্বতমানে বশ্বিরে একটি আর্দশ সংবধিান হসিবেে অভহিতি করা হয়।
No comments