'ইডিপাস' নাটকে নিয়তিবাদের স্বরূপ আলোচনা কর ।। Fatalism in the play 'Oedipus'
'ইডিপাস' নাটকে নিয়তিবাদের স্বরূপ আলোচনা কর।
গ্রিক সাহিত্যে Fate বা অদৃষ্ট বা নিয়তি বলে একটি কথা আছে। এ নিয়তি মানবজীবনের গতিপথের নিয়ন্ত্রক। সমালোচকের ভাষায়, "Fate is classical mythology three sister goddess who determined the course of human life." গ্রিক সাহিত্যে নিয়তির সম্মুখে মানুষ একবারেই অসহায়। পুরুষাকার আত্মশক্তি সকলেই অদৃষ্টের অমোঘতার কাছে ব্যর্থ। নিয়তি বা বিশ্ববিধানের নির্দেশ কিছুতেই এড়ানো যায় না। মানুষ অদৃষ্টের হাতে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নিয়তিকে এড়াবার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পরিশেষে মানুষ হয় নিঃশোষিত ধ্বংসপ্রাপ্ত।
গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের এক বিশ্ববিশ্রুত নাটক 'রাজা ইডিপাস'। এ নাটককে বলা হয় 'Drama of fate'. এতে নিয়তির নিষ্ঠুর লীলা আমরা প্রত্যক্ষ করি। এ নাটকে "মানুষের অবলুপ্তি অশেষ শক্তিমানের ভগ্যহত চিত্তের আর্তনাদ হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। ভাগ্যহত নায়ক তাঁর রুদ্ধ দ্বারের সম্মুখে ভীষণকে যখন উপস্থিত দেখেছেন তখন তাঁর সমগ্র অস্তিত্ত্ব উন্মুখ হয়েছে বিপর্যয়ের মধ্যে। তিনি তার জীবনের বিধাতাকে আবিষ্কার করেছেন যে বিধাতা প্রলয়ঙ্কর। ভাগ্য বিধাতার এমন বিস্ময়কর জীবন্ত অস্তিত্ত্বের তরঙ্গায়িত রূপের নিকট মানুষের জীবন বিপুল অনির্ভরতায় প্রবহমান তৃণখণ্ডের মত।"
বস্তুত গ্রিক ট্র্যাজেডি হলো বিরূপ দৈব, বিড়ম্বিত ভাগ্য তথা নিয়তির সাথে মানবপুত্রের সংগ্রাম এবং মানবপুত্রের জীবন বিপর্যয়ের ব্যথিতকর কাহিনী। 'রাজা ইডিপাস' নাটকে আমরা নায়ক ইডিপাসের কাহিনিতে নিয়তির অমোঘ প্রভাব লক্ষ করি। থিবিসের লোকগাঁথা অবলম্বনে রচিত এ নাটকে নাট্যকার দেখিয়েছেন বিশ্ববিধানের অমোঘ বিধি বা নিয়তি মানুষের জীবনে সক্রিয় থাকে। এ বিশ্ববিধান এবং তার ধারক ও বাহক বিধির রহস্য মানুষের কাছে অনুদঘাটিত, মানুষের বুদ্ধির অগম্য। সেজন্য লেয়াসের হত্যারহস্যকে উন্মোচন করতে গিয়ে ইডিপাসকে নিজের ভাগ্যরহস্য উদঘাটন করতে দেখি এবং সেদিকে লক্ষ্য রেখেই নাটকের আখ্যানটি দ্রুত পরিণতি লাভ করেছে। 'রাজা ইডিপাস' নাটকের মূল ঘটনাটি নাটক শুরু হওয়ার অনেক আগেই ঘটে গেছে। সে ঘটনার উদঘাটন হচ্ছে এ নাটকের কেন্দ্রীয় বিষয়। নাটকের মূল ঘটনাটি সংক্ষেপে এই:
থিবিসের রাজা লেয়াস ও রাণী জোকাস্টা নিঃসন্তান। বহুদিন সন্তান না হওয়ার বেদনায় ডেলফির মন্দিরে গেলেন লেয়াস, এর কারণ জানবার জন্য। দৈববাণীতে উচ্চারিত হল যে, জোকাস্টার গর্ভজাত সন্তান পিতাকে হত্যা করবে এবং মাতাকে বিবাহ করবে। এ সম্ভবনাকে এড়াবার জন্য লেয়াস ও জোকাস্টা সন্তান জন্মগ্রহণ করামাত্র তাকে পরিত্যাগ করলেন এবং হত্যার ব্যবস্থা করলেন। কিন্তু বিধাতার অমোঘ বিধি , সেজন্য নবজাতকের মৃত্যু হল না। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় পার্শ্ববর্তী রাজ্য করিনথে। করিনথের রাজা পলিবাস ও রাণী মেরোপী ছিলেন নি:সন্তান। তাঁরা সে সন্তানকে আপন সন্তানের ন্যায় লালনপালন করতে থাকেন এবং তার নাম রাখেন ইডিপাস। ইডিপাস যৌবনে পদার্পণ করলেন এবং যুবরাজরূটে সর্বত্র মান্য হলেন। একদিন অ্যাপোলোর দৈববানীতে ইডিপাস শুনতে পেলেন যে, তিনি পিতৃঘাতী হবেন এবং মাতাকে বিবাহ করবেন। এ দৈববাণীকে মিথ্যা প্রতিপন্ন কজরার জন্য ইডিপাস পালক পিতাকে আপন পিতা ভেবে করিনথ ত্যাগ করলেন। পথিমধ্যে এক রাজপুরুষের সাথে ইডিপাসের বিরোধ ঘটে এবং ইডিপাস রাজপুরুষ ও তার অনুচরদের হত্যা করে। ইডিপাস জানতেও পারল না যে দৈববাণীর প্রথম অংস অর্থ্যাৎ পিতৃঘাতী তা ইতোমধ্যে সফল হয়েছে। ইডিপাস যে রাজাপুরুষকে হত্যা করেন তিনি ছিলেন রাজা লেয়াস। লেয়াসকে হত্যার পর ইডিপস থিবিসে আসেন এবং স্ফিংসের প্রহেলিকা হতে থিবিসবাসীদের রক্ষা করেন। কৃতজ্ঞতাস্বরূপ থিবিসের নাগরিকবৃন্দ ইডিপাসকে রাজারূপে বরণ করে নিল। ইডিপাস রাজা হয়ে দেশাচার অনুযায়ী লেয়াসের বিধবা স্ত্রী জোকাস্টাকে বিবাহ করলেন না জেনে, সেই জোকাস্টা তারই গর্ভধারিণী। এভাবে দৈববাণীর দ্বিতীয় অংশও নির্মমভাবে সফল হয়। এরপর দীর্ঘ পনেরো বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। থিবিসের রাজারূপে ইডিপাস আশ্চর্য কতর্ব্যনিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন এবং পারিবারিক জীবনেও তিনি পরিতৃপ্ত।
এ হলো 'রাজাইডিপাস' নাটকের পূর্ব কাহিনী। নাট্যকার সফোক্লিস অত্যন্ত সুকৌশলে ইডিপাসের বিগত জীবনের কাহিনী উন্মোচন করেছেন। এরপর নাট্য কাহিনীতে দেখা যায়, দেশ জুড়ে নেমে এসেছে চরম দুর্ভাগ্য। থিবিসের ভতি ও সন্ত্রস্ত নাগরিকবৃন্দ এসেছে ইডিপাসের কাছে মুক্তির আশায়। প্রজাদের বেদনায় বেদনার্ত রাজা ইডিপাস রাজশ্যালক ক্রীয়নকে পাঠিয়েছেন অ্যাপোলোর মন্দিরে দেবতার অভিশাপের হেতু জানার জন্য । দৈববাণীতে বলা হলো , রাজ্যের মধ্যে এক মহাপাপ লালন করা হচ্ছে। সে মহাপাপ হলো , ভূতপূর্ব রাজা লেয়াসের হত্যাকারী আজও রাজ্যের মধ্যে নির্বিঘ্নে বিচরণ করছে। তার শাস্তি বিধান না করলে রাজ্য কলঙ্কমুক্ত হবে না। এ হত্যাকারীকে খুঁজে বের করতে ইডিপাস প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন এবং এ ব্যাপারে তিনি তাঁর সমস্ত প্রটেষ্টা নিয়োজিত করেছেন। যে গুরুভার ইডিপাসের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে তা সুষ্ঠুরূপে সম্পাদনে তিনি ব্রতী হয়েছেন।
"আমি এ হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণ করব বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হচ্ছি"
অজ্ঞাতনামা হত্যাকরীকে খুজেঁ বের করতে ক্রীয়নের পরামর্শ অনুযায়ী অন্ধ ভবিষ্যৎবক্তা টিরেসিয়াসকে ডেকে পাঠিয়েছেন। টিরেসিয়াস ইডিপাসকে হত্যাকরী বলে ঘোষণা করেছে এবং সাবধানবাণী উচ্চারণ করেছে। কিন্তু টিরেসিয়াসের সাবধানবাণী ইডিপাসকে হতোদ্যম করতে পারে নি। হত্যকারীর সন্ধান করতে গিয়ে ইডিপাস অনুভব করেছেন তার জন্মরহস্য সংবৃত। জন্মের রহস্য তাকে উন্মোচিত করতেই হবে। জোকাস্টাকে বলেছেন, "সন্ধানের সমস্ত সূত্র এখন আমার হাতের মুঠোয়। আমি আমার জন্মের সত্য আবিষ্কার করবো।"
জোকাস্টা তাকে নিবৃত্ত করতে চেয়েছেন। কিন্ত কোন অনুরোধই ইডিপাসকে নিবৃত্ত করতে পারেনি। এভাবেই ইডিপাস নিজের অজ্ঞাতসারে নিয়তিকে সফল করার পথে এগিয়ে গেছেন।
হত্যকারীর সন্ধান করতে গিয়েই ইডিপাস প্রত্যক্ষ করেছেন তার নিয়তিকে। জন্ম ও জীবনের নিষ্ঠুরতম সত্য ইডিপাসের কাছে উদ্ঘাটিত হল। ভাগ্যের অভিশপ্ত সস্তান ইডিপাস আপন পিতার হত্যকারী এবং আপন মাতার শয্যাসঙ্গী। আত্মপরিচয় লাভ করাটাই হচ্ছে আবিষ্কার। আর যখন ইডিপাস জানতে পারলেন তার যথার্থ পরিচয় তখন এক অসহ্য যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠলেন, "অন্ধকার। অন্ধকার। পাপী আমি, মহাপাপী, আমি অভিশপ্ত।"
ইডিপাস বুঝলেন স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে যে জীবনযাপনকে তিনি সুখের মনে করেছিলেন, ভাগ্যের বজ্রাঘাতে সে কল্পিত সুখের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি ক্রমান্বয়ে নিজের চরমতম দুর্ভাগ্যের দিকে এগিয়ে গিয়েছেন।
'রাজা ইডিপাস' নাটকে সফোক্লিস আমাদের দেখিয়েছেন যে, বিশ্ববিধান বা নিয়তি অলঙ্ঘনীয়। মানুষ নিজের ভাগ্য নিজেই সূচিত করছে তার নিজেরই ইচ্ছানুযায়ী। কিন্তু মানুষের ইচ্ছশক্তির মূলে রয়েছে স্বর্গের নির্দেশ এবং তার চিরন্তন বিধান। আলোচ্য নাটকে সফোক্লিস একদিকে মানুষের ইচ্ছাশক্তি, কর্মস্পৃহা অপরদিকে বিশ্ববিধান, এ দু'য়ের মধ্যে ক্রমাগত দ্বন্দ্ব দেখিয়েছেন। তাই নাটকের শেষাংশে আমরা দেখি ইডিপাসের মধ্যে এ দ্বন্দ্ব সুপরিস্ফুট হয়েছে। ইডিপাস অজ্ঞাতসারে বিশ্ববিধান লঙ্ঘন করেছেন। জন্মদাতা লেয়াসকে হত্যা এবং গর্ভধারিণী জোকাস্টার পাণি গ্রহণ করার ফলে বিশ্ববিধানের নিয়মনীতি বিচলিত হয়েছে। কিন্তু অদম্য ইচ্ছাশক্তির বলে ইডিপাস নিজের ভাগ্য নিজেই সূচিত করেছেন। যে মুহূর্তে ইডিপাস নিজের ঘৃণ্যতম পাপ সম্পর্কে নিঃসংশয় হয়েছেন, সে মুহূর্তে সে পাপের শাস্তি স্বেচ্ছায় বরণ করে নিয়েছেন। উদ্বন্ধনে মৃত রাণী জোকাস্টার গাত্রাবরণ থেকে কাঁটা খুলে নিয়ে তিনি নিজেই নিজের চক্ষু উৎপাটিত করেছেন। এ মস্তবড় পাপের শাস্তি তিনি এড়ালেন না এই বলে যে, সজ্ঞানে পাপ করেন নি বরং বলেছেন, "আমি নিজ হাতে আমার চোখ নষ্ট করেছি। যখন চারদিকে কদর্য বীভৎসতা, তখন এ চোখ দিয়ে আমি কি করবো? আমি সুন্দরকে কোথায় দেখতে পাবো? আমার জন্য নয়ন মুগ্ধকর পৃথিবী কোথায়? ..... আমি পরাজিত, আমি আহত। দেবতাদের কাছে আমি ঘৃণিত।"
শুধু তাই নয়, আত্মকৃত পাপের দরুন তিনি স্বেচ্ছায় জন্মভূমি থিবিস থেকে নির্বাসিত হতে চেয়েছেন। ক্রীয়নের প্রতি তাঁর শেষ অনুরোধ,
"এ মুহূর্তে এ দেশ থেকে আমাকে
নির্বাসন দাও, মানুষের দৃষ্টির অন্তরালে
আমাকে পরিহার কর।"
এভাবে অদম্য ইচ্ছশক্তির বলে ইডিপাস নিজের ভাগ্য নিজেই সূচিত করেছেন।
সফোক্লিসের 'রাজা ইডিপাস' নাটকের প্রধান দুই চরিত্র ইডিপাস ও জোকাস্টা নির্মমভাবে নিয়তির শিকার হয়েছেন। অদৃষ্ট বা নিয়তি নিষ্ঠুর কষাঘাতে তারা উভয়ে জর্জরিত হয়েছেন। জোকাস্টা নিয়তির নিষ্ঠূর লীলা প্রত্যক্ষ করে ক্ষোভে, দুছখে ও লজ্জায় আত্মহত্যার মাধ্যমে জীবন থেকে মুক্তি নিয়েছেন। জোকাস্টা নিয়তিকে ভয় করেছেন এবং নিয়তিকে অীতক্রম করতে পারেন নি। কিন্তু ইডিপাস তা করেন নি। নিয়তির নিষ্ঠুর লীলা প্রত্যক্ষ করে ইডিপাসও জোকাস্টার মতো অপরিসীম দুঃখ, বিস্ময়ে মুহ্যমান হয়েছেন। তবে তিনি নিয়তিকে অতিক্রম করে গেছেন। পাপের শাস্তি গ্রহণ ও স্বীকার করার মধ্য দিয়ে ইডিপাস আপনাকে আপনি অতিক্রম করে গেছেন এবং তাঁর এ প্রচেষ্টা তাকে মহিমায় দেদীপ্যমান করেছে। সমালোচকের ভাষায়, "নিয়তির এক অভিশপ্ত সন্তান সে(ইডিপাস)। কিন্তু সে নিয়তির হাতের পুতুল নয়, বরং সম্পূর্ণরূপে স্বয়ংক্রিয়। নিয়তিকে সে অস্বীকার করতে পারে নি বটে, কিন্তু নিজের ভাগ্য নিজেই সূচনা করেছে এ মর্মে যে, আত্মকৃত পাপের শাস্তি সে স্বেচ্ছায় বহন করে নিয়েছে। তার জীবনের নিয়তি নির্দিষ্ট হলেও এখানেই সে নিয়তিকে অতিক্রম করে গেছে। আপন শক্তিবলে, হৃদয়বলে, মনোবল ও সহনশক্তি বলে নিয়তিকে গ্রহণ ও স্বীকার করার এই যে প্রচেষ্ট, এরই ফলে সে মহিমান্বিত হয়ে উঠেছে।"
ইডপাস নিয়তির সন্তান হলেও নিয়তির চাইতে অনেক বড়, অনেক মহীয়ান। কেননা নিয়তির তাড়নায় তিনি পাপ করলেও সে পাপকে কখনো গোপন করতে যান নি। পাপকে তিনি সর্বসমক্ষে উন্মোচিত করেছেন। দ্বিতীয়ত, নিয়তি তাকে শাস্তি দেয় নি। তিনি পাপের শাস্তি স্বেচ্ছায় গ্রহণ করেছেন। এভাবে তিনি নিয়তিকে অতিক্রম করে গেছেন। সমালোচক বলেছেন,
"ইডিপাস যে স্থির ও দৃঢ়ভাবে ভাগ্যকে গ্রহণ ও স্বীকার করেছে, এর মধ্যে মনুষ্যশক্তির সে মহিমা বিকশিত হয়েছে। তাই আমাদের আনন্দ ও আশ্বাস দান করে নিয়তিকে গ্রহণ আর নিয়তির কাছে সমর্পণ, এক বলে ভাবলে ভুল হবে। কেননা গ্রহণ করা আর সমর্পণ করা এককথা নয়। প্রথমটি সক্রিয় মন এবং শেষেরটি নিষ্ক্রিয় মনের পরিচায়ক।"
সুতরাং আমরা বলতে পারি, নিয়তিকে গ্রহণ করে ইডিপাস বীর্যবত্তাই প্রকাশ করেছেন। 'ইডিপাস' নাটকে ইডিপাস নিজেই স্বীয় ভাগ্যের নিয়ত্তা। তাই নিয়তি অপেক্ষা তিনি অনেক বড়। এ নাটকের কহিনিনিয়ন্ত্রণে ও বিকাশে নিয়তির ভূমিকা রয়েোছ। আমরা নিয়তির দুর্ভেদ্য লীলায় ইডিপাসের পীড়ন ও জোকাস্টার মর্মযন্ত্রণা দেখে পীড়ন অনুভব করি। বিশ্ববিধান বিচলিত হতে দেখে বিমূঢ় হই। হবে শেষ পর্যন্ত মনুষ্যশক্তির মহিমা বিকশিতহ হতে দেখে আশ্বস্ত হই।
ক্রীয়ন কে?ক্রীয়ন চরিত্র সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ।'Creon' in the play "Oedipus". |
No comments