রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: বাংলা সাহিত্যের জ্যোতির্মণি ।। Rabindranath Tagore: The shining star of Bengali literature
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: বাংলা সাহিত্যের জ্যোতির্মণি
কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে, ১৮৬১ সালের ৭ই মে জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বিখ্যাত ব্রাহ্মণ সংস্কারক দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শারদা দেবীর ত্রয়োদশ সন্তান ছিলেন তিনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোটবেলা থেকেই ছিলেন কল্পনাপ্রবণ ও সৃজনশীল।
নিয়মিত স্কুলে না পড়লেও, তার শিক্ষা ছিল ব্যাপক ও বহুমুখী। বাড়িতে শিক্ষা লাভের পাশাপাশি, তিনি প্রকৃতির কোলে, ভ্রমণে, এবং বিভিন্ন বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করেন।
অনিয়মিত শিক্ষাজীবন হলেও, ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যের প্রতি ছিল তার অদম্য আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, গান, শিশুসাহিত্য সহ - সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি বিভাগেই রেখেছেন অমলিন ছাপ। ১৮৭৯ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ "কণিকা"।
গীতাঞ্জলি, চণ্ডালিকা, রক্তকরবী, চোখের বালি, গোরা, ঘরে বাইরে, রবীন্দ্রসঙ্গীত (প্রায় ২৫০০ গান) - তার অমর সৃষ্টির কয়েকটি উদাহরণ।
১৯১৩ সালে 'গীতাঞ্জলি' কাব্যের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করে বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেন। এই সম্মাননা লাভের মাধ্যমে তিনি প্রথম ভারতীয় এবং এশিয়ার প্রথম ব্যক্তি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
শুধু সাহিত্যেই সীমাবদ্ধ থাকেননি রবীন্দ্রনাথ। শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। শান্তিনিকেতনে "বিশ্বভারতী" বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গ্রামীণ জনগণের শিক্ষা ও উন্নয়নের জন্য "শ্রীশ্রীশান্তিনিকেতন আশ্রম" প্রতিষ্ঠা করেন। সমাজের বিভিন্ন কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধেও লড়াই করেছেন।
এই মহান সাহিত্যিক ১৯৪১ সালের ৭ই আগস্ট জোড়াসাঁকোতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন "গুরুদেব", "কবিগুরু", "বিশ্বকবি" উপাধিতে ভূষিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের এক অমর স্তম্ভ হিসেবে আজও অমর। বাংলা সাহিত্যের অমর সম্পদ হিসেবে আজও তার সৃষ্টি অমলিন।
|
No comments